নিন্মোক্ত প্রশ্নোত্তরের আলোকে ‘বাঁশ’ সম্পর্কে একটি ভাব-সম্প্রসারন লেখ।
১) বাঁশ কি ?
২) ইহা দেখতে কেমন?
৩) ইহা কোথায় পাওয়া যায় ?
৪) সাধারনত ইহা কোথায় উৎপাদিত হয় ?
৫) কাহারা ইহার ব্যবহার করে থাকে ?
৬) তোমার বাস্তব জীবনের আলোকে বাঁশ সম্পর্কে কিছু উদাহরন দাও।
৭) বাঁশ সম্পর্কে তোমার অভিমত ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা লেখ।
বাঁশ প্রতিনিয়ত ব্যবহার্য একটি উপাদান। ঘুম থেকে উঠা হতে সারাদিন বিভিন্নভাবে আমরা ইহার দ্বারা প্রভাবিত হই। ইহা দেখতে লম্বা, ইহার গায়ে অসংখ্য কাঁটা থাকে, এবং কাঁটাসমেত বাঁশ সাধারনত অন্যদের দিতে আমরা বেশি পছন্দ করে থাকি। প্রত্যেকেরই নিজস্ব জমিতে সবাই খুবই যত্নের সাথে বাঁশের চাষ করে থাকে এবং সুযোগ পেলেই উদার মনের পরিচয় দিয়ে সবাই নিজস্ব জমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বাঁশটি অন্যকে উপহারস্বরুপ দিয়ে থাকে। এছাড়াও একমাত্র বাঁশই বাঙ্গালিরা অন্য কারো জমি থেকে চুরি করেনা। সাধারনত প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাহাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অতি স্নেহের সহিত এ উপাদানটি দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধবেরা একে অপরকে বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন রকমের বাঁশ উপহার দিয়ে থাকে। প্রেমিক-প্রেমিকারাও একে অপরকে বাঁশ দিয়ে পুলক অনুভব করে বলেই বিশিষ্ট জনদের ধারনা।
আমার বাস্তব জীবনে আমি বিভিন্নভাবে বাশ খেয়েছি এবং তা ছিল বেশ উপাদেয়। কিছুদিন আগেই আমার মহাবিদ্যালয়ের শৃংঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছ থেকে বাঁশ খেলাম এবং অত:পর বাৎসরিক পর্ব [সেমিষ্টার] বর্জন করা। ইহা ছাড়াও যাহাদের বিশ্বাস করিতাম তাহারা অনেকেই আমাকে বাঁশ উপহার দিয়াছে। তবে আশার কথা বাবা-মা কখনোই বাঁশ দেয়নি আর দিবেও না।
পরিশেষে, বলা যায়, বাশ ছাড়া আমাদের জীবন অর্থহীন। আর বাঁশ পেয়ে পেয়ে আমার নিজস্ব জমাগারে অনেক বাঁশ ইতোমধ্যে জমা হইয়াছে এবং আমি তাহা বিতরনের উদ্যোগ নিয়াছি। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এই বাঁশ বিতরন কার্যক্রম শুরু করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীগনদের আমার সাথে যোগাযোগ করতে বিশেষ অনুরোধ করা গেলো।
কেমন হলো জানাবেন। ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে। কোণ প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।