Skip to main content

নতুন ক্লায়েন্ট এর সাইকোলজি বোঝা সবচেয়ে কঠিন কাজের মদ্ধে একটা। সেক্ষেত্রে কমন কিছু জিনিস সবসময় খেয়াল রাখবেনঃ

১. আগের কাজের ফিডব্যাক।
২. ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে কি ফিডব্যাক দিয়েছে সেটা + ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্টকে কি ফিডব্যাক দিয়েছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্ট এর বাজে ফিডব্যাকের রিপ্লাই দিয়েছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখবেন।
৩. যদি কোন ফিডব্যাক না থাকে তাহলে পরের ধাপে চলে যান।

 

একদম নতুন ক্লায়েন্ট আগের কোন কাজের ফিডব্যাক নেই বা কিছুই বোঝা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনঃ

১. প্রথমেই দেখে নিন পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কি’না? পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকলে আগান নয়তো কাজ পছন্দ না হলে ডিক্লাইন করে দিন।
২. জব প্রপোজাল দেয়ার পরে ক্লায়েন্ট যদি কথা / চ্যাট করার জন্য নক দেয় সেক্ষেত্রে প্রজেক্ট নিয়ে যত বিস্তারিত কথা বলা যায় সেটা বলার চেষ্টা করুন। যত কথা বলবেন তত বেশী ক্লায়েন্ট এর সম্পর্কে জানতে পারবেন, পাশাপাশি ক্লায়েন্ট’কে কনভিন্স করার সুযোগ’ও বাড়বে।
৩. ক্লায়েন্ট এর মদ্ধে ফ্রেন্ডলি ভাব আছে কি, না সে খবরদারি করা টাইপ সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। ফ্রেন্ডলি হলে প্রজেক্ট নিয়ে আগান।
৪. আর ক্লায়েন্ট যদি খবরদারি করা টাইপ হয় সেক্ষেত্রে বাজেট ভাল না হলে সটকে পরুন। অহেতুক রিস্ক নিয়ে লাভ নেই। কিছু ডলারের চেয়ে একটি বাজে ফিডব্যাক এর গুরুত্ব অনেক বেশী আমাদের কাছে।

 

ক্লায়েন্ট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা। এ ধাপগুলো বড় বাজেটের ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে বা সরাসরি কোন ক্লায়েন্ট পেলে তার ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্যঃ

১. লিড জেনারেশন এর কাজ যারা করে তারা এ কাজটা ভালমত করতে পারবে, নতুন ক্লায়েন্ট এর যততুকু ইনফরমেশন আছে তার উপর বেইস করেই গুগল সার্চ করুন। তার কিছু প্রোফাইল পেয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে রিসার্চ করে দেখুন।
২. ক্লায়েন্টের লিঙ্কডইন বা ওয়েবসাইট বা যেকোন ধরনের প্রোফাইল পেলে সেখানে তার শেয়ার করা কন্টেন্ট দেখে তার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিন।
৩. প্রজেক্টের ব্যপারে ভয়েস চ্যাট বা ভিডিও চ্যাট করুন।
৪. প্রজেক্টের ব্যপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন, একজন সিরিয়াস ক্লায়েন্ট সব প্রস্তুতি নিয়েই কাজ করানোর লোক খুঁজবে। যদি দেখতে পান ক্লায়েন্ট কি চায় সে ব্যাপারে সে ভালমত জানে বা কাজের ডকুমেন্ট রেডি আছে তাহলে ধরে নিতে পারেন ক্লায়েন্ট কাজ করানোর জন্যই আসলে লোক খুঁজছে। সেক্ষেত্রে কাজ নিয়ে এগোতে পারেন।
৫. পেমেন্ট মেথডের ব্যপারে এবং কন্ট্রাক্ট এর ব্যপারে আগেই কথা বলে নিন। সব ঠিক ঠাক করে কাজে আগানোর চেষ্টা করুন।
৬. সম্ভব হলে পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে Payment Escrow করে এমন কোন থার্ড পার্টির সার্ভিস নিতে পারেন।

এই মোটামুটি ব্যসিক স্টেপ নতুন কোন ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে। ভবিষ্যতে আপডেট হলে আরো বিস্তারিত এড করে দেয়া হবে।


কেমন হলো জানাবেন। ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে।  কোণ প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments
Kazi Mamun

আমি কাজী মামুন, পেশায় ওয়েব ডেভেলপার। ইউ.আই. ইউ.এক্স এবং ওয়ার্ডপ্রেস নিয়েই কাজ করা হয়। এর বাইরে নতুন নতুন গ্যাজেট নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করতে ভাল লাগে। টেকনোলজি নিয়ে টুকটাক লেখালেখি, মাঝে মাঝে ইউটিউব ভিডিও বা পডকাস্ট করতে ভাল লাগে।

Leave a Reply