Skip to main content

কাজ পাওয়ার তাগিদে আমরা অনেক সময়’ই বলে বসি বছরের পর বছর সাপোর্ট পাবেন বা অনেকে তো লাইফটাইম সাপোর্ট দিয়ে দেয়। বাস্তবতায় আসুন।

 

কি কি সাপোর্ট দিবেন এবং যে বাজেটে কাজ করছেন তার বিপরীতে কতটুকু সাপোর্ট আসলেই দিতে পারবেন সেটা চিন্তা করুন। একবার কমিটমেন্ট করে ফেলে সেটা পরে দিতে না পারা মানে কিন্তু আপনি প্রথমেই ধাক্কা খেলেন, নিজের কাজের কমিটমেন্ট নষ্ট করলেন।

ধরে নেই আপনি একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দিচ্ছেন কোন কোম্পানির জন্য এবং এর জন্য ১ লাখ টাঁকা বাজেট ধরেছেন। এখন কাজটি পাওয়ার জন্য আপনি করলেন কি, প্রপোজাল এ লিখে দিলেন লাইফটাইম সাপোর্ট। বা লাইফটাইম আপডেট। এখন এই সাপোর্ট এ কি কি অন্তর্ভুক্ত আছে বা কি কি নেই তার ডিটেইলস কিছুই নেই। তো আল্টিমেটলি ক্লায়েন্ট ধরে নিবে ওয়েবসাইট এর যেকোন প্রয়োজনেই তারা আপনাকে পাবে এবং আপনি ফ্রি সেই সাপোর্ট দিয়ে যাবেন। পরবর্তিতে দেখবেন কন্টেন্ট আপলোড থেকে শুরু করে হাজারো সমস্যায় আপনাকে নক দেয়া শুরু করবে।

কাজেই নিজের কাজের সাপোর্ট কতদিন এবং কি কি দিতে পারবেন সেটা উল্লেখ করে দিন।

 


আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন / ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে একটা সাধারন আউটলাইন দিয়ে দিচ্ছি:

১. ৩ মাস থেকে ১২ মাস ফ্রি সাপোর্ট। এ সাপোর্টে যা যা থাকতে পারে,
২. কোড রিলেটেড (বাগ) সমস্যা এবং সমাধান।
৩. কোর ভার্সন আপডেট এবং এক্সটেনশন আপডেট (যেকোন CMS বেজড সাইটের ক্ষেত্রে এটা বেশী দরকার হয়)।
৪. সাইট সিকিউরিটি আপডেট।
৫. হ্যাকড সাইট রিকোভারি।
৬. সার্ভার যদি আপনার থেকে নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সার্ভার রিলেটেড কোন সমস্যার সমাধান।
৭. ডোমেইন ইমেইল রিলেটেড ইস্যু।
৮. আপনার ডেলিভারি দেয়া কাজ যেমন ছিলো, কোন কারনে সেটা ব্রেক করলে (সার্ভার ফল্ট, আপনার ফল্ট) সেটা ফিক্স করে দেয়া।
৯. সাপোর্ট পিরিয়ডে যে ধরনের সার্ভিস দিবেন এবং সেগুলোর জন্য কত ঘন্টা বা দিন সময় লাগতে পারে সেটাও উল্লেখ করে দিবেন। যেমনঃ ৩ কার্যদিবস।

 

যে সার্ভিসগুলো ফ্রি সাপোর্ট এ থাকবেনা কিন্তু ক্লায়েন্ট সেগুলোকে ফ্রি সাপোর্ট এর ভেবে বসতে পারে, এমন ব্যপারগুলোও মেনশন করে দিবেন। যেমনঃ

১. সাপোর্ট পিরিয়ডে কোন প্রকার কন্টেন্ট আপডেট করা হবেনা।
২. কোন নতুন ফাংশন এড করা হবেনা।
৩. ক্লায়েন্ট দ্বারা সৃষ্ট কোন সমস্যার সমাধান এর আওতাধীন নয়।
৪. কাজ ডেলিভারি দেয়ার পরে কোন প্রকার নতুন কিছু এড করা সাপোর্ট এর আওতাধীন নয়।

উপরোক্ত সবগুলো সার্ভিসই ক্লায়েন্ট চাইলে পেমেন্টের বিনিময়ে এ নিতে পারবে, সেটা উল্লেখ করে দিতে পারেন।

 

কাজের প্রতিটি ধাপকে ডকুমেন্টেড আকারে রাখুন, ক্লায়েন্টের সাথে কনসাল্ট করুন। এতে করে কাজের প্রফেশনাল এপ্রোচ যেমন বাড়ে ঠিক তেমনি ক্লায়েন্টের সাথে একটি সুন্দর ট্রান্সপারেন্ট সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব হয়।

 


কেমন হলো জানাবেন। ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে।  কোণ প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments
Kazi Mamun

আমি কাজী মামুন, পেশায় ওয়েব ডেভেলপার। ইউ.আই. ইউ.এক্স এবং ওয়ার্ডপ্রেস নিয়েই কাজ করা হয়। এর বাইরে নতুন নতুন গ্যাজেট নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করতে ভাল লাগে। টেকনোলজি নিয়ে টুকটাক লেখালেখি, মাঝে মাঝে ইউটিউব ভিডিও বা পডকাস্ট করতে ভাল লাগে।

Leave a Reply